পুরো জামালপুরে তাঁর কথার বাইরে যাওয়ার সাহস ছিল না অন্য কোনো সংসদ সদস্য (এমপি), দলীয় নেতা-কর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ কারও। সরকারি দপ্তরের ঠিকাদারি, জমি দখল, দলীয় মনোনয়ন, দলীয় পদপদবি পাওয়া না–পাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।
তিনি মির্জা আজম। তিনি জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ১৬ বছরের ব্যবধানে তিনি বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন। ১৬ বছর ধরে ‘চুপ’ থাকা মানুষগুলো এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন, বের হতে শুরু করেছে তাঁর রাজত্বের নানা অন্যায় ও অনিয়মের তথ্য।
মির্জা আজম তাঁর স্ত্রী, সন্তান, পাঁচ ভাইসহ পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের নামে-বেনামে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
কে এই মির্জা আজম
আশির দশকে মির্জা আজমকে সবাই খাদ্য বিভাগের পরিবহন ঠিকাদার হিসেবেই চিনতেন। খাদ্য বিভাগের ধান, চাল, গমসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহের ট্রাকসহ পরিবহনের ঠিকাদার ছিলেন। জামালপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ১৯৯১ সালে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। আর পেছনে তাকাতে হয়নি। টানা সাতবার এমপি নির্বাচিত হন। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে পলাতক মির্জা আজম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে স্থানীয়ভাবে শোনা যায়। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।