দেশের ডলার সংকট তীব্রতর হচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের বিপুল দায়দেনা এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ওইসব দায় থেকে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের চাপ রয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন এলসির দায় মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে। ওই দায়ের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। পাশাপাশি বিদেশি ঋণে পরিশোধের চাপ তো রয়েছেই। এক কথায় আওয়ামী লীগ আমলের করে যাওয়া দেনা পরিশোধ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে নতুন সরকারকে। মূলত বিগত সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ, ব্যাপকহারে লুটপাট ও অর্থ পাচার নতুন সরকারের ঘাড়ে বোঝা হয়ে চেপে বসেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এরপর সরকার পতন হলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এ কারণে দেশের রপ্তানি খাত বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছে। বিশেষ করে সম্প্রতি পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে দেশের রপ্তানি খাত। এ খাতের পরিস্থিতির উন্নয়ন না ঘটলে বড় ধরনের ডলার সংকটে পড়বে দেশ। যদিও সরকার পতনের পর বিদেশি বিনিয়োগ, ঋণ ও প্রবাসী আয়ে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।