জাতীয় সংসদের সদস্যরা জনগণের সেবক বলে দাবি করলেও নিজেদের ‘সেবা’ নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন বেশি। দু–একজন ব্যতিক্রম বাদে প্রায় সব সংসদ সদস্যই শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ির মালিক হয়েছেন। আবার ব্যবসায়ীদের কাছে অনেক বেশি দামে সেই গাড়ি বিক্রি করে ফাও কামিয়েছেন, এ রকম নজিরও কম নয়।
আগের সংসদের সদস্যরা তো দেদার শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়েছেনই। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি যে বিরোধী দলহীন আমি–ডামি নির্বাচন হলো, সেই সংসদের সদস্যরাও শুল্কমুক্ত গাড়ি কেনার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ৫১ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির উদ্যোগ নেন ও ঋণপত্র খোলেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের গাড়ি দেশে এসেছে। ছয়জন গাড়ি খালাস করতে সমর্থ হয়েছেন। চারজনের গাড়ি খালাস করার আগেই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ফলে তাঁদের গাড়ি আটকে দিয়েছে কাস্টমস।