‘বাংলাদেশ ২.০’ ধারণায় বৈষম্যহীন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ খাত হতে পারে ই-কমার্স। এ খাতের মাধ্যমে শহর-গ্রামের বৈষম্য কমিয়ে মেধাবী মানবসম্পদ ও তাদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব। এর যথেষ্ট প্রমাণও আমাদের হাতে রয়েছে। গ্রামে বসেও একজন তরুণ অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্সের মাধ্যমে সারা দেশের ভোক্তাদের কাছে তাঁর পণ্য পৌঁছে দিতে পারছেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে কৃষিভিত্তিক ই-কমার্স উদ্যোগের সংখ্যা বাড়ছেই। এরই মধ্যে দেশীয় শিল্পের বিকাশ, উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এই খাত জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করছে। তবে ই-কমার্স খাতে উল্লেখযোগ্য কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে।
ই-কমার্স কার্যক্রম ইন্টারনেটের ওপর পুরোটাই নির্ভরশীল। শহর বা গ্রাম সব জায়গায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করা জরুরি। দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়ার বাধা দূর করলে গ্রাম ও শহরে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হবে। পাশাপাশি সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট সংযোগপ্রাপ্তি ই-কমার্স ব্যবসাকে আরও ত্বরান্বিত করবে।