পাবনার রূপপুরে রাশিয়ার ভিভিইআর ১২০০ প্রযুক্তিতে দুই ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণব্যয় এশিয়া মহাদেশের অন্য দেশগুলোর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয়ের তুলনায় বেশি। শুধু তা-ই নয়, নির্মাণ-ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জাপান, ফিনল্যান্ড, স্লোভাকিয়া রিপাবলিক, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, ভারত, এমনকি রাশিয়াকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।
রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রোসাটম রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন পর্যায়ের চুক্তি (জেনারেল কন্ট্রাক্টসহ) পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। চুক্তির তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরের মূল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে এখন পর্যন্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে ১৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা। এই কেন্দ্রের অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে খরচ হবে আরও অন্তত সাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বা দুই বিলিয়ন ডলার। এই হিসাব রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণব্যয়ের হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
নির্মাণব্যয়ে এশিয়ায় শীর্ষে রূপপুর
আন্তর্জাতিকভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণব্যয় মূলত হিসাব করা হয় প্রতি ১ হাজার ওয়াট (১ কিলোওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদনে কত মার্কিন ডলার ব্যয় হচ্ছে তার ভিত্তিতে। একে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয় বা ওভারনাইট কস্টও বলে। অর্থাৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ব্যয়কে মোট উৎপাদন সক্ষমতা (কিলোওয়াট হিসাবে) দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যায়, সেটাই প্রতি ইউনিট কেন্দ্র নির্মাণব্যয়।