কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে নিহতের সংখ্যা নিয়ে একেক পক্ষ একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছে। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৫০ জন। অন্যদিকে আন্দোলনরত ছাত্ররা ২৬৬ জনের নিহতের তালিকা দিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ঢাকায় ১০৩ জন নিহতের তথ্য দেওয়া হয়েছে। ১৬ থেকে ২৬ জুলাই-১১ দিনে তারা নিহত হন বলে ডিএমপি জানিয়েছে। নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই দলনিরপেক্ষ ও নিম্নআয়ের মানুষ বলেও জানায় ডিএমপি। এ সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশের বৃহৎ এই ইউনিট। তালিকাটি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
তালিকা বিশ্লেষণ করে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৯, বিএনপির ১২, জামায়াত-শিবিরের ২, আটরশির (জাকের পার্টি) ১ এবং দলনিরপেক্ষ ৫৯ জন রয়েছেন। এছাড়া ১৮ জন ছাত্র, ছয়জন বেসরকারি চাকরিজীবী এবং দুজন সাংবাদিকের নাম রয়েছে। শ্রমিক, হকার, দিনমজুর এবং দোকান কর্মচারীর সংখ্যা ৩৯ জন। আছেন নয়জন ব্যবসায়ী, ছয়জন করে গাড়িচালক ও রিকশাচালক, তিনজন পুলিশ সদস্য, একজন আনসার সদস্য, তিন শিশু (১২ বছরের কম বয়সি) ও অজ্ঞাতনামা ১০ জন।