আমার এক বন্ধুর স্ত্রী অকস্মাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। স্ত্রীটি জাপানের, তাঁর নাম কাজুকো। আমার বন্ধু জাপানে লেখাপড়া করতে যান এবং সেখানেই তাঁদের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক তৈরি হয়। পরিচয়ের কারণ, আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ কার্যক্রমে তরুণী কাজুকো অংশ নিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের জনগণ ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসে। আমার বন্ধুর সঙ্গে কাজুকোও ঝাঁপিয়ে পড়েন।
তারপর ১৯৭৩ সালে তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং চিরদিনের জন্যই বাংলাদেশে চলে আসেন। পরবর্তীকালে সন্তানাদি নিয়ে এ দেশের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়ে পড়েন। তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুতে আমরা শোক ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ি। কারণ, এ ধরনের মানুষ খুবই বিরল। যাঁরা সুখে-দুঃখে সব সময় তাঁদের সুন্দর হাসিটি দিয়ে অন্যদের প্রভাবিত করতে পারেন।