বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সঙ্গে যার নাম উচ্চারিত হয়, তিনি তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, বরং দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে নতুন রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিরও সদস্য ছিলেন।
১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর সংবিধান বিল তথা খসড়া সংবিধানের ওপর তিনি যে দীর্ঘ ভাষণ দেন, সেখানে জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতার রাশ টেনে ধরার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বলেন, ‘সংবিধানে আমরা এমন ব্যবস্থা রাখতে চাই যে, জনপ্রতিনিধি বা জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বা যাঁরা শাসনতন্ত্র পরিচালনা করবেন, তাঁদের দ্বারা সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হতে পারে, এমন ক্ষমতা যেন তাঁদের কখনো না থাকে।’ তিনি বলেন, ‘সংবিধানে যেন এমন কোনো ব্যবস্থা আমরা না করি, যে ব্যবস্থায় কোনো অন্যায়, কোনো শোষণ থাকতে পারে।’