সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের দুর্নীতি প্রকটভাবে প্রকাশের পর তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও বিতর্ক। ক্ষমতাসীনেরাও এখন স্বীকার করছেন যে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। তবে জাতীয় সংসদে বক্তব্যে সরকারি দলের সদস্যদের অনেকে পুলিশ ও প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলছেন। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, এই সীমাহীন দুর্নীতি করার মতো পরিবেশ তৈরি হওয়ার দায় তাহলে কার?
দায় আসলে সরকারের ওপরই বর্তায়। কারণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সরকার কার্যত ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে এবং তা মানুষকে বিচলিত করছে। ব্যর্থতার অভিযোগ মানতে রাজি না হলেও আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে এটা স্বীকার করেন যে সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতি দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলা হলেও তা কার্যকর হয়নি।