দিনের আলো ফুরোলে, কফির কাপে চুমুক নয়
আমাদের দেহঘড়িকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘সারকাডিয়ান রিদম’ বলা হয়। এই সারকাডিয়ান রিদম বা জৈবিক ছন্দ দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই চলমান। যেমন ধরুন, কয়েক দিন নিয়ম করে রাত ১১টায় ঘুমানোর চেষ্টা করলে আপনার সারকাডিয়ান রিদম সেটিকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবে। সাতসকালে ঘুম থেকে ওঠা, রাতে ঘুমিয়ে পড়া—সবই সারকাডিয়ান রিদমের খেলা। সন্ধ্যায় বা সন্ধ্যার পর কফি খেলে স্বাভাবিক এই ‘রিদম’ বা ছন্দের পতন হয়।
কফি আমাদের শরীরে শক্তি জোগায়। সন্ধ্যার পর আমরা সাধারণত তেমন কোনো কায়িক শ্রম বা ভারী কাজ করি না। তাই কফি খাওয়ার ফলে তৈরি হওয়া বাড়তি শক্তি ব্যয় হয় না। আর বাড়তি এই শক্তি যদি কোনো কাজে ব্যয় না করা হয়, তবে শরীরে তৈরি হয় অস্থিরতা। রাতে ঘুম আসতে দেরি হয়। তাই সূর্য ডোবার পর কফির কাপে চুমুক দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঘুম থেকে উঠেও বন্ধ থাক কফিতে চুমুক
আমাদের দেহের অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি থেকে কর্টিসল নামের এক হরমোন নিঃসরণ হয়। কর্টিসল কিছু শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন বিপাক, রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা, মানসিক চাপ ইত্যাদি। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে বলে এই হরমোনকে ‘স্ট্রেস হরমোন’ও বলে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কর্টিসল প্রাকৃতিকভাবে আপনাকে চাঙা রাখে। তাই সকাল সকাল কফির কাপে চুমুক দিলে তেমন কোনো উপকার পাওয়া যায় না।