দাকোপে যেতে এখনো বরনপাড়া-পানখালী ফেরি পার হতে হয়। সিডরের সময় থেকেই ঝপঝপিয়া নদীর ওপর সেতু হওয়ার আলাপ শুনছি। এর মধ্যে দেশ অনেক দূর এগোলেও সেতু আর হয়নি।
ফেরির ইঞ্জিনঘরের উল্টো দিকে কানাই মণ্ডল ঠিক আগের মতোই বসে ছিলেন সামান্য কিছু মৌসুমি ফল নিয়ে। এক ঝুড়ি গবেদা আর গোটা চারেক বেল। পানখালী ইউনিয়নের তিতাপালিতে কানাই মণ্ডলের বাড়ি। সিডরে জাল-নৌকা হারিয়ে সেই যে তিনি পেশা হারিয়েছেন, আর ফিরে পাননি।
জাল-নৌকার আশ্বাস মিলেছিল অনেক, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর মেলেনি। জলদাস কানাই মণ্ডল জীবনকে টেনে নেওয়ার জন্য ভাটার দাস হয়েছিলেন। কুমিল্লা, ভোলাসহ দেশের আনাচকানাচে ইটভাটায় কাজ করেছেন বছর কয়েক। এখন আর তাঁকে ডাকেন না সরদারেরা।