‘কুকিদের’ সম্পর্কে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরু মানুষ সামান্যই অবহিত ছিল। এর মধ্যে পরপর চারটি ঘটনা ঘটল। প্রায় এক বছর আগে মণিপুরে মেইতেই-কুকি সংঘাত বাধল। একই সময়ে মিয়ানমারের চিন প্রদেশে বেগবান হলো বামারদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের প্রতিরোধযুদ্ধ। পরপরই বান্দরবানে কুকিরা নজর কাড়ল কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরে।
মণিপুর, চিন, বান্দরবানের ঘটনাবলির খবরাখবর গেল মিজোরামে। সব সহজাতির সঙ্গে সংহতি দেখিয়ে সেখানেও কিছু মিটিং-মিছিল হলো। এভাবেই গত এক বছরে কুকি-দুনিয়া বিশেষ মনোযোগ পেল অকুকিদের। সেই সূত্রেই অনেকের আগ্রহ এখন জাতিসত্তাটি নিয়ে। তবে এই আগ্রহের আগে-পরে কুকি অঞ্চলগুলোতে সহিংসতাও চলেছে। যুগের পর যুগ আশপাশের সংখ্যাগুরুর সাংস্কৃতিক দাপট ও নানানমুখী চাপে কুকি সমাজ ক্লান্ত ও বিপন্ন।
বুক চিতিয়ে না দাঁড়ালে কোনো সংখ্যাগুরু কোনো দিন তাঁদের কথা শোনেননি। ফিরেও তাকাননি। আবার সশস্ত্রতা এবং সন্ত্রাসও তাঁদের শান্তি ও স্বস্তির অতীত ফিরিয়ে আনতে পারেনি। পাশাপাশি কল্পনার স্বাধীন ভূমি ‘জালেন-গামে’র কথাও ভুলতে পারে না তাদের ইতিহাস।