রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেসব স্থানে গত সাতদিন ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা গত ৩০ বছরের একই সময়ের গড় তাপমাত্রার তুলনায় চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি—এমনটিই জানা গেছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য থেকে।
এ সময় প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে আর্দ্রতার কারণে শরীর জ্বালা করছে। বছরের এ সময়টাতে মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী ও বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি আনলেও এবার তা নেই বললেই চলে। তীব্র তাপদাহে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে এরই মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
উচ্চমাত্রার গরমের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারায় নানা ধরনের রোগবালাই বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি মানুষের মৃত্যুঝুঁকি বাড়ছে। তৈরি হচ্ছে পানি-বিদ্যুতের সংকট। ফসলের উৎপাদন কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে খরা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি মাসের বাকি সময় ছাড়াও আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহ ধরে সারা দেশে থেমে থেমে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অতি উষ্ণ ও আর্দ্রতার বিপদ থাকতে পারে জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত।
এমন পরিস্থিতি করণীয় সম্পর্কে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, লেখক ও গবেষক গওহার নঈম ওয়ারার সঙ্গে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিকে 'দুর্যোগ' হিসেবেই দেখতে চান এই গবেষক। তার ভাষ্য, 'অবশ্যই এটা দুর্যোগ। একটা পরিস্থিতিকে কখন আমরা দুর্যোগ বলব? যখন কোনো পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য অন্যের সহযোগিতা লাগে। বিষয়টা কেবল গরম লাগার না। এটার অর্থনৈতিক দিকও আছে। সেটা আমাদের মানতে হবে।'