সিন্ডিকেটবাজি নিয়ন্ত্রণের উপায়

www.kalbela.com সাব্বির আহমেদ প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২৪, ১২:১৩

বহু বছর ধরেই দেশে সিন্ডিকেটবাজি চলছে বলে ধারণা সাধারণের। এক-এগারোর সরকারের সময় প্রথম সিন্ডিকেটবাজি শব্দটি বেশি করে আলোচনায় আসে। বিগত কয়েক বছরে পেঁয়াজ, আলু, কাঁচামরিচ, ডিম, সয়াবিন তেল, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেশ কয়েকবার হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল। সর্বশেষ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি করার ঘোষণা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাজারে তার দাম এক লাফে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। সরকারের হস্তক্ষেপে এবং বিশেষ অগ্রাধিকারে বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি আশ্বাসে তা কিছু কমেছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার পর দাম কমেছে। সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করলে এভাবে দ্রব্যমূল্য হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কথা নয়। এর পেছনে সংঘবদ্ধ চক্র কাজ করে বলে জনমনে ধারণা রয়েছে। বেশ কয়েকটি ছোট-বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে সরকার বিভিন্ন সময়ে আর্থিক শাস্তিও দিয়েছে। এসব শাস্তি নির্দেশ করে যে বাজারে সিন্ডিকেটবাজি সক্রিয়।


রমজান, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, কোনো পণ্যের কম উৎপাদন কিংবা যেসব দেশ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা হয়, সেসব দেশে উৎপাদন কম হওয়া অথবা রপ্তানি বন্ধ বা বাড়তি কর বা কোটা আরোপ ইত্যাদি অজুহাত দেখিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী বড় বড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে হঠাৎ করে কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। সিন্ডিকেটবাজি সম্পর্কে জনমনে এমনই ধারণা। এ ধারণা সঠিক নয়, এমন কথা বলার মতো কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না। সিন্ডিকেটবাজির সঙ্গে সরকারের ভেতরে থাকা কর্তাদের যোগসাজশ রয়েছে বলেও ধারণা আছে সাধারণের। এ কাজ এমন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে করা হয় যে, সরকারের ওপরমহল চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে এর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।


সিন্ডিকেটবাজি বন্ধ করতে বাজারকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রথম এবং প্রধান শর্তই হচ্ছে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার। তা না হলে মুক্তবাজার অর্থনীতি জনকল্যাণে নয়, গুটিকয় পুঁজির মালিকের পকেট ভারী করে, সাধারণ মানুষ বেশি দামে পণ্য কিনতে বাধ্য হয়, সমাজের সম্পদের পুনর্বণ্টন সঠিকভাবে হয় না। বাজারকে কোনো দেশ কোনোকালে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক করতে পারেনি। এর প্রধান কারণ রাষ্ট্রগুলোকে দেশীয় পণ্যের সুরক্ষা দিতে হয়। নইলে দেশ বিদেশনির্ভর হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক রাজনীতি এখনো এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এতটা যৌক্তিক এবং মানবিক হয়নি যে, কোনো দেশ ডেভিড রিকার্ডোর ‘তুলনামূলক সুবিধা তত্ত্ব’ পুরোপুরি মেনে চলতে পারে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us