এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে অসহযোগিতা করার অভিযোগে বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে।
জগন্নাথের সেই পরিস্থিতি নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমের সঙ্গে আজ শনিবার দুপুরে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা অনলাইন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম যৌন হয়রানির যেই অভিযোগ করেছিলেন, আপনারা কেন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেন না?
অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম: ঘটনার দুই বছর পর মেয়েটি এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। এই শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করা, সেশনজটসহ বিভাগের আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ করে। এসব বিষয় নিয়ে আমরা তৎকালীন উপাচার্যের কাছে যাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে উপাচার্য বিষয়টি শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে মীমাংসা করার পরামর্শ দেন। তখন তার বাবার সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করি। পরে শিক্ষার্থীর সঙ্গেও আলোচনা করি। কিন্তু সেই শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহার করেনি। উপাচার্যকে জানানোর পর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এরপরই ওই শিক্ষার্থী প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে দাঁড়িয়ে যায়। এবার বিভাগের শিক্ষক শাহেদ ইমনের প্ররোচনায় ফাতেমা আমিন তাকে (মীম) কোনো মার্কস দেয়নি— এই অভিযোগ তোলে।