আমাদের গ্রামের বাড়িতে এখনও কিছু দেশি চিকন ধানের আবাদ হয়। শৈশবে হেমন্তকালে দেখতাম খুলিবাড়ি বা বাইরের উঠানে জমি থেকে কেটে আনা বিভিন্ন জাতের পাকা ধানের আঁটির জন্য ভিন্ন ভিন্ন পুঞ্জ। সেগুলো মাড়াই করতে করতে মাসাধিক কালক্ষেপণ করা হতো। সবার আগে ইরি জাতের মোটা ধান মাড়াই করা হতো বাজারে বিক্রির জন্য।
কার্তিকের শেষ পর্যন্ত দেশি জাতের ধান পাকতো না। তাই বাজারে মোটা চালের কিছুটা দাম বেশি পাওয়া যেত বলে কৃষকরা ইরি জাতের মোটা ধান আবাদ করতেন। এরপর সুগন্ধি জাতের ভোগধান, জামাইআদুরি, কলোজিরা, তুলশীমালার মাড়াই করে সংরক্ষণ করা হতো। কারণ সুগন্ধি ধানের ক্ষেতে যেমন পাখি ও পতঙ্গের আক্রমণ বেশি হতো তেমনি পাকা ধান কেটে উঠানে এনে রাখার পর আঁটির পুঞ্জে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হতো।