দেশে প্রথমবারের মতো প্রতি মাসে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের মূল্য নির্ধারণ করবে সরকার। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলে দেশে কমবে আবার বাড়লে দেশের বাজারেও বাড়বে। চলতি সপ্তাহ থেকেই নতুন এই পদ্ধতি শুরু হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এ মাসে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমার আভাস পাওয়া গেছে। তবে ডিজেলের দাম না-ও কমতে পারে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। অনেকটা এই প্রক্রিয়ায় জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ হলে ভোক্তা এবং সরকার উভয়ই সুবিধা পাবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে মূল্য নির্ধারণে বিপিসির আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের ওপর অতিরিক্ত যে শুল্ক, কর রয়েছে তা কমানো উচিত। সেই গণপরিবহনে ব্যবহৃত জ্বালানি ডিজেলের দামের সঙ্গে যেন যাত্রী ভাড়ার নিয়মিত সমন্বয় হয়, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা দরকার। যদিও স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ডিজেলের দাম কমলে বা বাড়লে পরিবহন ভাড়া কী হবে তা নিয়ে এখনো সরকারের কোনো নির্দেশনা পায়নি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ।