বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ‘আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি’

প্রথম আলো রাফসান গালিব প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৪, ১৫:২৬

আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি
কথায়, ইচ্ছায়, আর সাধনায়, আর কারখানায়
আমরা মৃত্যু উৎপাদন করি


গতকাল সকালে বেইলি রোডে পুড়ে যাওয়া কঙ্কালসার বহুতল ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অসংখ্য মানুষের ভিড়। বেশির ভাগই নির্বাক, স্তব্ধ। কথা বললেও ক্ষীণ আওয়াজ। যা আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা কর্মী আর সংবাদকর্মীদের কণ্ঠের। সেখানে ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে, ভবনের নিচে পড়ে থাকা ভাঙা কাচের গুঁড়ির ওপর হাঁটতে হাঁটতে নাকি মর্গে গিয়ে মানুষের লাশ আর স্বজনের আহাজারি দেখতে গিয়ে কখন এই গানটির কথা স্মরণে আসল জানি না।


সারা দিনই সোনার বাংলা সার্কাস ব্যান্ডের জনপ্রিয় এই গানই খালি মাথার ভেতরে বাজছিল। আর একের পর এক দৃশ্য ভেসে আসছিল ফ্ল্যাশব্যাকের মতো—সিদ্দিকবাজার, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, মগবাজার, রূপগঞ্জ, বিএম কনটেইনার, চুড়িহাট্টা, রানা প্লাজা। কোনটা মার্কেট, কোনটা কারখানা, কোনটা আবাসন ভবন সেটি নিশ্চয়ই স্পষ্ট করে বলার দরকার নেই।


তবুও ব্যস্ত সকাল


কী ভয়াবহ এক সকাল অপেক্ষা করছে, তা জানা ছিল না। ঘুম থেকে ওঠেই দেখি, বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুন লেগে অনেক মানুষের প্রাণহানি। বাসার কাছেই বেইলি রোড। ফলে অফিসে না গিয়ে আগে সেখানেই ছুটে গেলাম।


সকাল নয়টার পরেই হাজির হলাম বেইলি রোড। রাস্তা আটকে দেওয়ায় দুই রিকশা ঘুরে যেতে হলো। আশপাশে অনেক স্কুল-কলেজ, ফলে কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট ব্যাচ পড়ানো শিক্ষকদের বাসাও। ফলে ছুটির দিনে অলিগলিতে মানুষের ব্যস্ততা চোখে পড়ল, বেশির ভাগই শিক্ষার্থী-অভিভাবক। তাদের সবাই হয়তো জানেন কয়েক গলি পরেই ঘটে গেছে সেই ঘটনা। কিন্তু এই জাদুর শহর ঢাকার বাসিন্দারা খুব ভালো করেই জানেন, এখানে কোনো শোক বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকে না। থাকার সুযোগও নেই।


হাঁটা দূরত্বে কিছু রেস্তোরাঁ পুড়ে ছাই হলেও, এ গলি ও গলি সব রেস্তোরাঁতে মানুষ ভরপুর। কারণ সকালের নাশতা মুখে দিয়েই ছুটতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us