রাজধানীর বেইলি রোডের যে ভবনটিতে বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লেগেছিল, সেই ভবনে আছে ১৭টি রেস্টুরেন্ট। কিন্তু সেই ভবনের ছিল না আগুন নির্বাপণব্যবস্থা। সিঁড়ি থাকলেও সেটি ছিল ব্যবসায়ীদের মালপত্রে ঠাসা। ওঠানামার একমাত্র লিফটটির সামনে বেশির ভাগ সময়ই ভিড় লেগে থাকে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর বলছে, ভবনমালিক তাদের কাছ থেকে কোনো অনাপত্তিপত্র নেয়নি।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে এমন বেশির ভাগ বাণিজ্যিক ভবনেরই কোনো অনুমোদন নেই। আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেই কেবল সেসব ভবনের তালিকা করা হয়। চালানো হয় অভিযান। কিন্তু পরে আর সেগুলো গতি পায় না। এ ছাড়া দুর্ঘটনার পর এক সেবা সংস্থা আরেক সেবা সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়।
বেইলি রোডের দুর্ঘটনাকবলিত ভবনের অনুমোদন না থাকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী গতকাল শুক্রবার বলেন, ‘ভবনের নির্মাণ বা অন্যান্য জিনিস দেখবে রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। সেটি তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত।’ সুরক্ষা সেবা সচিব এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গতকাল বেইলি রোডে আগুন-কবলিত ভবন পরিদর্শন করেন। ওই সময় একই রকম বক্তব্য দেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। তিনি জানান, এই ভবনের মালিককে তিনবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।