রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবন গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে নিহত ৩৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার স্বজনেরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরে তাঁদের মরদেহ শনাক্ত করেন।
যাঁদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাঁরা হলেন ঢাকার কাকরাইলের বাসিন্দা কুরবান আলীর মেয়ে ফৌজিয়া আফরিন ওরফে রিয়া (২২) ও তাঁর বোন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন, মালিবাগের ২১৬ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা প্রলেনাথ রায়ের মেয়ে পপি রায় (৩৬), পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জের শিপন পোদ্দারের মেয়ে সম্পনা পোদ্দার (১১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মৃত জহিরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে আসিফ (২৫), মতিঝিলের আরামবাগের বাসিন্দা নাজিয়া আক্তার (৩১) এবং তাঁর ছেলে আরাহাম মোস্তফা আহামেদ (৬), পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ির বাসিন্দা মুসলেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), কুমিল্লার মুরাদনগরের নবিপুরের সম্পা সাহা (৪৬), নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলার শান্ত হোসেন (২৪), মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দা কবির খানের দুই মেয়ে মায়শা কবির ওরফে মাহি (২১) ও মেহেরা কবির দোলা (২৯), রমনা সার্কিট হাউস রোডের বাসিন্দা ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক লুৎফুর নাহার করিম ওরফে লাকি (৫০) এবং তাঁর মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী জান্নাতি তাজরিন ওরফে নিকিতা (২৩), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্বচর আলীমবাগের মোহাম্মদ জিহাদ (২২), যশোর সদর থানার মধ্যপাড়ার বাসিন্দা কবির হাসানের ছেলে কামরুল হাসান (২০), ভোলা সদর থানার উত্তর পাড়ার মাঈনুল হকের ছেলে দিদারুল হক (২৩), মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাউর রহমান ওরফে শামীম (৬৫), টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান (২৭), কুমিল্লা সদরের হাতিগাড়ার বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নুসরাত জাহান ওরফে শিমু (১৯)।
এ ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন। তাঁরা হলেন ইতালিপ্রবাসী সৈয়দ মোবারক কাউসার (৪৮), তাঁর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৪০) এবং তাঁদের তিন সন্তান—সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা (১৬), সৈয়দা আমেনা আক্তার ওরফে নুর (১৩) ও সৈয়দ আবদুল্লাহ (৮)। সৈয়দ মোবারক কাউসারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে।