দর বেঁধে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না

সমকাল আবু আহমেদ প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৯

বাংলাদেশের অর্থনীতি রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত নয়। এটা হলো বাজার অর্থনীতি। এ ধরনের অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা হলে সবচেয়ে ভালো। তা না হলে প্রতিযোগিতার কাছাকাছি একটি পদ্ধতি কার্যকর থাকতে হয়। অন্যদিকে বাজার অর্থনীতিতে সবচেয়ে খারাপ হলো একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বা মনোপলি। এর মানে একজন সরবরাহকারী, যাকে আমরা সাপ্লায়ার বলে থাকি; একক কর্তৃত্বে যখন সাপ্লাই ন্যস্ত থাকে, তখন তাকে মনোপলি বলে। এ অবস্থায় দর বেঁধে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। 


বাজার অর্থনীতির সৌন্দর্য হলো প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতারও মাত্রা আছে। কোনো কোনোটাকে আমরা ‘যথাযথ প্রতিযোগিতাপূর্ণ’ বা পারফেক্টলি কম্পিটিটিভ বলি। খুব বেশি চার্জ করলে ক্রেতারা ওখান থেকে চলে আসে। সুতরাং সবাই প্রায় একই দামের কাছাকাছি চার্জ করে। সেটার জন্য দরকার অনেক লেয়ার। মানে অনেক ক্রেতা ও অনেক বিক্রেতা। যে বাজারে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে, সেটাকে আমরা বলি প্রতিযোগিতামূলক বাজার। সেটা ভোক্তার জন্য ভালো। ভোক্তার স্বার্থে যায়। 


অন্য দেশের বাজারগুলো যে সবসময় প্রতিযোগিতাপূর্ণ থাকে, তা কিন্তু নয়। বাজারের কোনো কোনো অংশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ, আবার কোনো কোনো অংশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেখানে অলিগোপলি দেখা যায়; যেখানে ক্রেতা অনেক হলেও সরবরাহকারী বা সাপ্লায়ার গুটিকয়েক।  


আমাদের এখানেও অলিগোপলি আছে। যেমন টেলিফোন মার্কেট। সেখানে চার বা পাঁচটি কোম্পানি বাজারে আধিপত্য রাখে। ভোজ্যতেলেও অলিগোপলি। মাত্র কয়েকটি কোম্পানি বাজারের মূল শেয়ারের অধিকারী। তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। অলিগোপলির ক্ষেত্রেও বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিন্তু যথাযথ প্রতিযোগিতাপূর্ণ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় না। এর পর থাকে ডুয়োপলি, যেখানে মাত্র দু’জন ব্যক্তি বা কোম্পানি বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। এ রকম বাজারকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। স্বাধীন রেগুলেটর দরকার হয়। আমাদের ভালো মানের স্বাস্থ্যসেবাও অলিগোপলির ভিত্তিতে চলে। ওরা চাইলে দাম বেশি নিতেই পারে। যোগসাজশে ওরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। তারা একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না গিয়ে বোঝাপড়া করে বাজারদর ঠিক করে। এগুলো নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করতে হয়। 


আমাদের স্বাস্থ্যসেবা খাতে নিয়ন্ত্রণের যথেষ্ট অভাব আছে। এখানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজটি করে। অথচ অধিদপ্তর কখনও ভালো রেগুলেটর নিয়ন্ত্রক হতে পারে না। 
বাদবাকি পণ্যের বাজারের কথাই বলা যাক। খুচরা ও পাইকারি বাজারের অবস্থা আলাদা। মূলত সাপ্লাই চেইন নিয়ন্ত্রণ করে যথাযথভাবে পরিচালনা করতে হবে। ডিম, পেঁয়াজ, গোলআলু, চালের মতো দ্রব্যের বাজার একটু আলাদা। এসব দ্রব্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দামের কমবেশি হতে পারে। কেউ আমদানি করছে, কেউ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করছে। তাই দাম বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে দরকার হলো বড় কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তির কাছে যেন এ বাজারের নিয়ন্ত্রণ চলে না যায়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us