দিনাজপুর সদর উপজেলার বেলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ জনই বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্য। এই ৩০ জনের আবার বেশির ভাগই সাঁওতাল।
স্কুলে ঢুকেই এই শিশুদের পড়তে হয় ‘ভাষাগত সংকটে’। সংখ্যায় তারা এক-চতুর্থাংশ হলেও সেখানে তাদের ভাষায় পড়াবার মত কোনো শিক্ষক নেই। ফলে বাংলাভাষী শিক্ষার্থীদের যখন জানার পরিধি বাড়তে থাকে, তখন ‘না বোঝার দুনিয়া’ এই শিশুদের হতাশায় ফেলে, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ার কারণও হয়।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমীন বলছেন, শুরুতে নৃগোষ্ঠীর শিশুরা নিজেদের ভাষায় কথা বলে, যা শিক্ষকরা বোঝেন না। আবার শিক্ষকদের বলা বাংলাও তারা তেমন বুঝতে পারে না।
“শিশু শ্রেণি থেকেই ওরা সমস্যায় পড়ে যায়। নিজেদের প্রয়োজন বোঝাতে পারে না এই সাঁওতাল ও অন্য নৃগোষ্ঠীর শিশুরা। ফলে পাঠেও তেমন মনোযোগ দিতে পারে না।”
সাবিনা বলেন, “ওরা বাংলা শিখে তো স্কুলে আসে না। প্রথম বছরটা যুদ্ধ করে ওদের বাংলা শিখতে হয়।
“অনেক শিশু হতাশ হয়ে যায়, অনেকে ক্লাসে আসে না। আমরা আবার তাদের সাথে যোগাযোগ করে ফিরিয়ে আনি।”