একজন নারী রাজনীতিক হিসেবে মহান জাতীয় সংসদে নিজ অঞ্চলের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার গৌরবময় স্বপ্ন দেখার অধিকার সবারই আছে। তার নজির দেখছি সংরক্ষিত আসনে ১ হাজার ৫৪৯ জনের নমিনেশন ফরম কেনার সংবাদে। এর মাঝে দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী পরীক্ষিত রাজনৈতিক কর্মী যেমন আছেন, তেমনি গতকাল শুরু করেছেন তেমনও আছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা হয়ে পথ দেখাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে সব শ্রেণি-পেশার নারী রাজনীতিতে আগ্রহ বোধ করছেন, নিরাপদ ভাবতে পারছেন, সাহসী আর উদ্যমী করে নিজেকে নতুন করে তৈরি করছেন– এসবই বঙ্গবন্ধুকন্যার অবদান।
জাদুর ছড়িবিহীন এক জাদুকরী মায়ায় তিনি আগুনের পরশমণি। ১ হাজার ৫৪৯– এ সংখ্যায় তাই বিস্ময়ের কিছু নেই! তিনি তাঁর আকর্ষণীয় চিরায়ত বাঙালি মাতৃত্বের আবহে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে স্বপ্নময় করে তুলেছেন। এই স্বপ্নের পথযাত্রায় পুরোনো পোড় খাওয়া নেতার ঘাম-অশ্রু-ত্যাগ যেমন আছে, তেমনি নতুন নতুন মুখ– যাদের মজা করে ‘হাইব্রিড’, ‘কাউয়া’ বলা হয়; হয়তো তারাও আছেন! চেনা তারকাদের উজ্জ্বল ভিড় যেমন আছে, তেমনি দলের বিশ্বস্ত কর্মীদের শক্তিশালী উপস্থিতিও আছে।
বঙ্গবন্ধুকন্যার বাংলাদেশ সর্বজনীন আজ। ৩০০ আসনের সময়ও একই চিত্র দেখা গেছে। অনেক নমিনেশন ফরম বিক্রি হয়েছে। সবাই যে যোগ্য এবং ত্যাগী তা নয়। নারী আসনের সংখ্যা আর ফরম বিক্রির সংখ্যা যাই হোক না কেন, সিদ্ধান্ত নেবেন বোর্ড-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি।
নারীকে নিয়ে সবকিছুতেই ট্রল করা সহজ। কিন্তু নারীর উন্নয়নের অঙ্গীকার, নারীকে সাহসী করা, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণকে সাধুবাদ জানানোর কাজটা সম্মানজনকভাবে করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই। নারীবান্ধব সরকারপ্রধান বঙ্গবন্ধুকন্যার রাজনীতির ছায়াতলে নারীর জন্য সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখার সাহসী স্বাধীনতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারই উপহার।
বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বই পাওয়া কন্যাশিশুটি থেকে শুরু করে বিধবা ভাতা পাওয়া দাদির ছোট নাতনিও একদিন স্বপ্ন দেখবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির। হয়তো তাদের কেউ কেউ ফরমও কিনবে। জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, অভিনয়শিল্পী, ব্যারিস্টার, চিকিৎসক, সাংবাদিক, উদ্যোক্তা, খেলোয়াড়, শিক্ষকসহ সব পেশার নারী নানা আঙ্গিকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছেন, থাকতে চান; তাদের থাকতে দিন, আসতে দিন।