অনেক শঙ্কা, অনিশ্চয়তা এবং প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সফলভাবেই অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বিশ্বের সব দেশের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকে এবং আমাদের দেশের সব নির্বাচন নিয়েই একটু বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয়ে থাকে। তাই বর্তমান নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবেই। মূল কথা এবারের নির্বাচনে বেশ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জ ছিলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-
১. সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি, ২. নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী অবস্থা সহিংসতামুক্ত রাখা, ৩. নির্বাচনে কোনোরকম কারচুপি না হওয়া এবং ৪. মোটামুটি অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। এসব চ্যালেঞ্জ যথেষ্ট সফলভাবে মোকাবেলা করেই এবারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটাই এখন বাস্তবতা। শিগগিরই নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য শপথ নিবেন এবং নতুন সরকারের নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হবে, যাঁদের প্রধান দায়িত্ব হবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনা এবং আওয়ামী লীগের ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।
বর্তমানে যে পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠিত হচ্ছে, তাতে তাঁদের অনেক দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর বিরাজমান এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ এবং অস্থিরতা সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে আমাদের থাকতে হবে ভাল একটি মন্ত্রিসভা, যেখানে দায়িত্বে থাকবেন দক্ষ-অভিজ্ঞ এবং সঠিকভাবে ডেলিভার করতে পারবেন এমন ব্যক্তি। বিশেষ করে অর্থ, পররাষ্ট্র, বাণিজ্য এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন সবচেয়ে যোগ্য, অভিজ্ঞ এবং বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ ভালো বোঝেন এমন ব্যক্তিদের ওপর। কেননা
আগামীতে নতুন সরকারকে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ, অনিশ্চয়তা এবং প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হতে পারে বলে ধারণা করা হয়, তার অধিকাংশই এই কয়টি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত। ফলে এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যেসব মন্ত্রী থাকবেন তাঁরা যদি পরিস্থিতি আগে থেকে আঁচ করে স্ব-উদ্যোগী পদক্ষেপ নিতে পারেন এবং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন, তাহলে অনেক সমস্যাই আগে থেকে সমাধান করা সম্ভব হবে। যেমন আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ফেডারেল রিজার্ভ তাদের নীতিসুদের হার বা বেঞ্চমার্ক রেট আর বৃদ্ধি করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এবং এই বছর থেকে এই সুদের হার হ্রাস করার কথা থাকলেও কবে থেকে সেটি হতে পারে সে ব্যাপারে তারা ধারণা দিতে পারেনি।