ভোটার উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নির্দেশক

যুগান্তর মুঈদ রহমান প্রকাশিত: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫১

প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তাই এ নির্বাচন আইনগত বৈধতা পেলেও অংশগ্রণমূলক হওয়ার আখ্যা থেকে বঞ্চিত হবে। আমাদের দেশের মানুষ বরাবরই নির্বাচনমুখী ছিলেন। তারা ভোটের দিনকে উৎসব হিসাবেই পালন করতে অভ্যস্ত ছিলেন। কিন্তু গত দেড় দশকে সেই উৎসাহে ভাটা পড়েছে। এমনকি সাধারণ মানুষ ভোট ব্যবস্থাপনার ওপর আস্থা হারিয়েছেন বললেও অত্যুক্তি হবে না। মানুষের এ মানসিক পরিবর্তনের জন্য কারা দায়ী তা তর্কসাপেক্ষ। কিন্তু যে-ই দায়ী হোক না কেন, বাস্তবতা হলো দিন দিন মানুষ রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়ছেন। আর ভোট যেহেতু রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনারই একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, তাই তাদের এ অনাগ্রহ। গত এক বছরে যেকটি উপনির্বাচন হয়েছে, তাতে ভোটার উপস্থিতি ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। সুতরাং, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী দলের সমর্থক উভয়ই এখন ভোটবিমুখ। খুব বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়া সাধারণ ভোটারের এ মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব হবে না।


বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণ নির্বাচন একটি অপরিহার্য শর্ত। এ নির্বাচনের মাধ্যমেই সাধারণ মানুষ তাদের স্বার্থের অনুকূলে কথা বলার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকে। তবে হ্যাঁ, আজকের যে গণতন্ত্রের সংস্কৃতি, তাতে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি নির্বাচন করা কতটা সম্ভব তা-ও প্রশ্নসাপেক্ষ। তারপরও প্রচলিত ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে একটি সাধারণ নির্বাচনের প্রয়োজন। আমরা পাকিস্তান আমলের পুরো সময়টাই কাটিয়েছি সংসদীয় গণতন্ত্রের দাবিতে লড়াই-সংগ্রাম করে। এর ধারাবাহিতায় অর্জিত হয়েছে লাখো শহিদের প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ।


গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালের মাচে। সে নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টিতে জয়লাভ করে। এরপর গণতান্ত্রিক ধারায় ব্যাঘাত ঘটে। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামরিক সরকারের অধীনে। রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের রাজনীতি আবারও গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসে। ওই নির্বাচনে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে। মেয়াদ শেষ করে নির্বাচনের আগেই তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ অপরাপর দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি তোলে। কিন্তু বিএনপি সরকার সেই দাবি উপেক্ষা করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফাভাবে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে। কিন্তু নির্বাচন থেকে বিরত থাকা বিরোধী দলগুলোর তীব্র আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিএনপি সরকার তত্ত্বাবধায়কের দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। সেই মোতাবেক ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয় সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে ২১ বছর পর সরকার গঠন করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us