বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সীমান্ত এলাকার মানুষের মাঝে সম্প্রীতি বাড়াতে চালু হয় সীমান্ত হাট। কোনো ধরনের শুল্ক ছাড়াই এসব হাটে উভয় দেশের পণ্য বেচাকেনা হয়। দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ও বৈষম্য কমিয়ে আনতে হাট চালু হলেও নানা সীমাবদ্ধতায় এর যথাযথ সুফল পাচ্ছেন না বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা। বেচাকেনার ক্ষেত্রে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছেন তারা। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, চাহিদা থাকলেও অনুমোদন না থাকায় কিছু পণ্য বিক্রির সুযোগ নেই। আবার বাংলাদেশী ক্রেতারা সহজে হাটে প্রবেশ করতে পারলেও ভারতীয় ক্রেতাদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে বিএসএফ। ফলে প্রকৃতপক্ষে অধিকাংশ ক্রেতাই বাংলাদেশী। আর তাদের কাছেই পণ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন ভারতীয়রা। অন্যদিকে ভারতীয় ক্রেতার অভাবে বাংলাদেশী পণ্য খুব একটা বিক্রি হয় না। সব মিলিয়ে প্রতিটি হাটে বাংলাদেশীদের চেয়ে গড়ে তিন গুণ বেশি পণ্য বিক্রি করছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলা সীমান্তে তিনটি হাট চালু রয়েছে। একটি রয়েছে সিলেটের ভোলাগঞ্জ সীমান্তে। নতুন চালু হওয়া সিলেট ও সুনামগঞ্জের তিনটি হাটে ব্যবসা নিয়ে হতাশা রয়েছে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মাঝে। হাটগুলোয় দুই দেশের ৫২টি পণ্য বিক্রির অনুমতি রয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত থেকে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত যারা বাস করে তাদেরই মূলত সীমান্ত হাটে বাণিজ্য করার অনুমতি কার্ড দেয়া হয়। এ কার্ড ব্যবহার করে একজন ২০০ ডলারের পণ্য কিনতে পারেন প্রতি বাজারে। প্রতি হাটে দুই দেশ মিলে ৫০ ব্যবসায়ী ব্যবসার সুযোগ পান।