আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ দিন সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার সারা দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। ফলে ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি টানা তিন দিন ছুটি হতে যাচ্ছে। সাধারণত এই জাতীয় ছুটিতে মানুষ গ্রামেই বেশি যায়। তবে ঘুরতেও যায় অনেকে। এখন দেখার বিষয় এই নির্বাচনে কতটা আগ্রহ আছে ভোটারদের কিংবা কতটা স্বতস্ফুর্তভাবে ভোট দিতে যায় তারা।
ভোটারদের সমর্থন পেতে ও ভোটার বাড়াতে এরইমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আর প্রার্থীদের প্রচারণা ও দৌড়ঝাঁপ চলছে। এবারের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে কোনো উপায়ে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। তবে সেখানে বিপরীত কাজ করছে বিএনপি ও তার সহযোগী দলগুলো। ভোটারদের ভোটদানে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। তবে নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেওয়া এবং বাধ্য করা– দুটিই মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি অনেকটাই বদলেছে। এখন ভোটে আগ্রহ হারাচ্ছেন সাধারণ ভোটাররা। কারণ এখন আর তাদের খুব একটা কদর নেই। এ ছাড়া বাংলাদেশের নির্বাচনী আইন বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নির্বাচনে জয় পেতে ন্যূনতম ভোটার উপস্থিতির হার নিয়ে কোনো আইনি বাধ্যবাধকতাও নেই। ফলে ভোটের রাজনীতিতে বর্তমানে অনেকটাই উপেক্ষিত হচ্ছেন ভোটাররা।