নির্বাচন জমিয়ে দেওয়ার কৌশলে নৌকার প্রার্থীদের বিপরীতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় ভোটের মাঠে বাড়ছে উত্তেজনা। প্রচার ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসতে থাকায় কঠোর হওয়ার বার্তা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
৩০০ আসনে প্রায় ১৯০০ প্রার্থী এখন ভোটের প্রচারে তৎপর। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ইতোমধ্যে আট দিন পার হয়ে গেছে, প্রচারের সময় বাকি আছে আর দশ দিনের মত।
বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে সমাঝোতা আর জোটের হিসাব নিকাশের মধ্যে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের লড়াই হবে প্রায় দেড়শ আসনে। এর মধ্যে শতাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন, যারা আওয়ামী লীগের নানা পর্যায়ের দলীয় পদধারী।
নিজেদের শক্তি আর জনপ্রিয়তা দেখাতে গিয়ে এরই মধ্যে গোটা পঁচিশেক আসনে প্রতিপক্ষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, প্রচারে বাধা দেওয়া, মারধর, হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতার তথ্য এসেছে সংবাদমাধ্যমে। পিরোজপুর ও মাদারীপুরে দুজনের মৃত্যুও হয়েছে।
ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় এ পর্যন্ত আড়াইশর বেশি শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী অপরাধের জন্য এখন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করা হচ্ছে।