রাজধানীর বঙ্গবাজারে এক ব্যবসায়ীর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয় গত ৩১ জানুয়ারি রাতে। ওই ঘটনায় ফাঁস হওয়া মুঠোফোন আলাপ থেকে জানা যায়, চাঁদা না পেয়ে ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কর্মীরা। তাঁদের পাঠিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হাসান।
ঘটনাটির পর ১২ ফেব্রুয়ারি ইমদাদুলকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। কিন্তু গত ১৩ জুলাই ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তাঁকে বিজ্ঞানবিষয়ক উপসম্পাদকের পদ দেওয়া হয়।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনাটির মতো গত জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ১১ মাসে ৩৮টি চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারধর ও প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের নাম এসেছে। নানা অপরাধে জড়িত থাকায় এ সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ও পদ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ২১ জন।
অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে, যাঁরা ছিনতাই ও মারধরে জড়িত ছিলেন। অবশ্য প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে মারামারি, চাঁদাবাজি, সাধারণ শিক্ষার্থীকে নির্যাতন এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও এগুলো শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনা।