শাহজাহান ওমর নিজেই বলেছেন তিনি ২০২২ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। শাহজাহান বানরের পিঠা ভাগাভাগির টেনশনে থাকেননি। তিনি একবারে নৌকায় উঠেছেন। এই ঘুণপোকা চলে যাওয়ার কারণে বিএনপি আরও শক্তিশালী হয়েছে।’
আসন্ন নির্বাচন ও বিএনপির আন্দোলন নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।
২৮ অক্টোবর সমাবেশের পর বিএনপির আন্দোলনে ক্রমশই ভাটা পড়ছে। সরকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্নের পথে। কী বলবেন এখনকার আন্দোলন নিয়ে অথবা দলের অনুসারীরাই বা কী প্রত্যাশা করবে?
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা: আমি মনে করি বিএনপি আন্দোলনে শতভাগ সফল। সফল এ কারণে বলছি যে, আমাদের ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে সরকারের যে পরিকল্পনা তা বিভিন্ন সময় আওয়াজ দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব শাপলা চত্বর বানানো, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র তাপস সাহেব লগি-বৈঠা দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলেছিলেন। দলের বড় নেতারা মোটা মোটা লাঠি নিয়ে মাঠে থাকার নির্দেশনা দেন।
অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ২৮ অক্টোবরের আগে থেকেই গ্রেফতার শুরু হয়। পথে পথে তল্লাশি চালানো হয়। হোটেল, বাসাবাড়ি, মেসগুলোতে তল্লাশি করে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা যে ওই সমাবেশ ঘিরে সাঁড়াশি অভিযান চালাবে তা স্পষ্ট হচ্ছিল। আমরা যখন অতিশান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করে যাচ্ছিলাম, তখন হঠাৎ করে পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালায়। বিচারপতি ভবনে হামলা, পুলিশের গাড়িতে হামলা, পুলিশ হত্যার মতো নাটক সাজিয়ে পুরো দোষ বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করে। এর মধ্য দিয়ে বিএনপিকে একেবারে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
ছত্রভঙ্গ তো হয়েছেও বটে?
রুমিন ফারহানা: মোটেও না। সরকার দোষ চাপিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আটক করেছে বটে। কিন্তু এখন স্পষ্ট হয়েছে কেন নেতাদের আটক করা হয়েছে। আটক নেতাদের চাপ দিয়ে বিএনপি ভেঙে একটি অংশকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা করছিল সরকার। সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য চাপ দিয়েছে, ভয় দেখিয়েছে, হামলা-মামলা করেছে। কিন্তু পারেনি বিএনপিকে ভাঙতে।