নির্বাচনের পর কী হবে রাজনীতির গতিমুখ

প্রথম আলো এম সাখাওয়াত হোসেন প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৩৭

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা, বাগ্‌বিতণ্ডা ছাপিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যদিও প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো, অনেক যুগ রাজনৈতিক মাঠে থাকা বাম দলের বহুলাংশ এবং কথিত দক্ষিণপন্থী ইসলামিক ভাবাপন্ন দলগুলো (যার মধ্যে অনেকগুলোই নিবন্ধনহীন) তত্ত্বাবধায়ক অথবা নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করেছে।


দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকা দলগুলো তাদের দাবির সপক্ষে জনসমাগম ঘটানোর কৌশল নিয়েছিল। এই বাস্তবতায় অনেকেই মনে করেছিলেন যে এবার হয়তো গণতন্ত্র ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে উভয় পক্ষের মধ্যে কোনো ধরনের বোঝাপড়া হতে পারে। কারণ, রাজনীতি দেশের ও মানুষের কল্যাণের জন্য, অকল্যাণ ডেকে আনার জন্য নয়। সে আশার গুড়ে বালি পড়ে ২৮ অক্টোবর পল্টন এলাকায় এযাবৎকালের সর্ববৃহৎ জনসমাবেশ ঘটানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা পণ্ড হওয়ার মধ্য দিয়ে।


২৮ অক্টোবরের ঘটনা নির্মোহভাবে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণের বিষয় হয়ে থাকবে। প্রশ্ন থাকবে যে এত বড় একটি দল, বছরখানেক ধরে রাজপথের কথিত আন্দোলন গড়ে তোলার পর প্রায় শেষ পথে এসে কেন এমন কাণ্ড করতে গেল? এ ঘটনা নিয়ে জনসাধারণের বিচার-বিশ্লেষণ থেমে নেই। এমনকি আন্তর্জাতিক মহল, যারা বাংলাদেশে একটি উদার গণতন্ত্র দেখতে চায় বলে দাবি করে তারাও এ নিয়ে বিচার–বিশ্লেষণ করছে।


আমার ধারণা ছিল, রাজপথের বিরোধী দল সরকার থেকে ন্যূনতম আশ্বাস পেলে হয়তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিত। আমার এ ধারণা পুরো ভুল হতে পারে। তবে এ কথা অনস্বীকার্য যে ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনীতি এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছে।


আগামী নির্বাচন যে মডেলে হতে যাচ্ছে, তা আগের দুই নির্বাচনের মডেল ও পরিপ্রেক্ষিতের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। এ মডেল খুব একটা ভিন্নতর বা এর আগে দেখা যায়নি তেমন নয়। ১৯৮১ থেকে ১৯৯১—এই এক দশকে এমন ধাঁচের নির্বাচন এ দেশের হয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনের মডেল আরেকটু ভিন্নতর। ঘোষণা দিয়ে সরকারি দলের ‘ডামি’ প্রার্থী (ডামির বাংলা নকল) দাঁড় করিয়েছে এবং একই সঙ্গে কথিত স্বতন্ত্র, একই দলের, অথবা সহযোগী দলের প্রার্থীদের দাঁড় করানো হয়েছে।


এ নির্বাচনে আরেকটি নতুন বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয় হচ্ছে, কথিত তৃতীয় বৃহত্তর দল হিসেবে পরিচিত, ছোট ছোট দল, নতুন গজিয়ে ওঠা রাজনৈতিক দলগুলোও সরকারি দলের কাছে বিজয়ের নিশ্চয়তা প্রার্থনা করছে। এ জন্য তারা সরকারি দলের প্রতীক ব্যবহার থেকে শুরু করে সরকারের কাছ থেকে নানা সহায়তা পেতে মরিয়া। না পেলে অভিমান করার ঘটনাও ঘটছে। সরকার যেহেতু আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের চাপে রয়েছে, তাই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করতে এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us