লুপ্তপেশা কাগজি: বিস্মৃত আড়িয়ল পেপার

বিডি নিউজ ২৪ আমিন বাবু প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৫৮

কিছুকাল আগে সরকারের একটি বিমানবন্দর নির্মাণ প্রকল্প ঘিরে আলোচনায় আসে আড়িয়ল বিল। গণমাধ্যমের কল্যাণে নামটি তখন থেকে মুখে মুখে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু আড়িয়ল আরেকটি কারণে শত শত বছর আগে পরিচিতি পেয়েছিল যা আমাদের ইতিহাসে উপেক্ষিত।


কয়েক বছর আগে ব্রিটিশ সরকারের অফিসিয়াল কিছু নথি উন্মুক্তকরণের পর বিষয়টি নিয়ে জানাজানি হয়। খুবই সামান্য কিছু নোট পাওয়া যায় আড়িয়লের নামে। ঐতিহাসিক এসব নথি সাক্ষ্য দেয়, ইতিহাস আড়িয়লকে তার গর্ভে জায়গা দিয়েছিল কাগজ শিল্পে বিশেষ অবদানের কারণে। বস্তুত, হাতে বানানো কাগজের কারিগর বা কাগজিদের কারণে বাংলাদেশের এই স্থানটি একসময় বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছিল। স্থানটি সম্পর্কে বর্ণনায় যাওয়ার আগে কাগজিদের সম্পর্কে কিছু বলা উচিত।


কাগজি (Kagji/Kaghzi/Kaghazi) বলা হতো এমন পেশাজীবীদের, যারা হাতে কাগজ প্রস্তুত ও বিপণনে কুশলী ছিল। কাগজিরা যেসব গ্রামে বসবাস করতো এবং কাগজ বানাতো সেই গ্রামগুলো কাগজি পাড়া, কাগতি পাড়া ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিল। মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ রাম চক্রবর্তীর লেখায় এই পেশার উল্লেখ আছে। তিনি লিখেছেন, “কাগজ কাটিয়া নাম ধরিল কাগতি”। এই কাগতি বা কাগতিয়ারাই লুপ্তজীবী- ‌‘কাগজি’। মুনতাসীর মামুন তাঁর ‘ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী’ বইতে সপ্তদশ শতকে কাগজিদের জীবনযাত্রা বর্ণনা দিতে গিয়ে দেলওয়ার হাসানের উদ্ধৃতিতে বলেছেন:


“আজ যেখানে বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ইসলামপুর, বাবুবাজার, চকবাজার ও নিউমার্কেট, সেখানে একসময় কাগজের বাজার ছিল। এর শুরুটা মোগল আমলে। মোগল সুবাদাররা এ অঞ্চলের হুকুমবরদার হয়ে আসার সময় তারা সাথে করে কাগজিদের নিয়ে এসেছিলেন দরবারের প্রয়োজনীয় কাগজ বানানোর জন্য। মোগল প্রশাসনের সঙ্গী হওয়া সেই কাগজিরাই কালে কালে রয়ে যায় এবং বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। শায়েস্তা খাঁ ১৬১৬ সালে ঢাকার আশপাশে কাগজিদের বসবাসের জন্য জমি দান করেন। যার অন্যতম ধামরাইয়ের কাগজিপাড়া। বুড়িগঙ্গার পাড়েও কাগজিদের আবাস ছিল। ঢাকায় বসবাসরতদের জন্য দান করা জায়গাটি পরিচিত কাগজিটোলা নামে। পুরান ঢাকার কলুটোলার পাশেই কাগজিটোলার অবস্থান। একসময় মোগল দরবার, দপ্তর, আদালতসহ বাণিজ্যিক নানা কাজে কাগজের এস্তেমাল ছিল সীমিত। ক্রমেই কাগজিরা হাতে তৈরি কাগজ তৈরি বাড়িয়ে দিতে থাকে। শুরুতে মেস্তা দিয়ে এরা কাগজ তৈরি করতো। পরে পাট, চট এবং আরও পরে বাঁশের মণ্ড দিয়ে কাগজ উৎপাদনে ঝুঁকে পড়ে তারা। ফরিদপুরের পাট ও বিক্রমপুর অঞ্চলে তৈরি চটের সহজলভ্যতার কারণে পরবর্তীকালে বিক্রমপুর অঞ্চলে কাগজ তৈরির কারিগররা বসতি গড়ে তোলে। সময়ের সাথে উৎপাদন ও বিক্রিতে জড়ায় কাগজিরা। এসব কাগজিদের তৈরি নানা রংয়ের কাগজ ঢাকার কাগজিটোলায় বেচাকেনা হতো। মুঘল সুবাহ’র দপ্তরে হাতে বানানো কাগজ কদর পেয়েছিল। পরে মুর্শিদ কুলী খাঁ রাজধানী রাজমহলে স্থানান্তর করলে কাগজিরা সংকটে পড়ে”। 1

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us