জাপানকে জনসংখ্যা নিয়ে দ্বিমুখী সমস্যার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রথমত, জনসংখ্যা দিন দিন কমে যাওয়া। দ্বিতীয়ত, প্রবীণ জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে। এমনই এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইতোও-চু।
চলতি বছরের শুরুতে প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশটির জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ কোটি। আগের বছরের চেয়ে যা প্রায় ৮ লাখ কম। ২০০৮ সাল থেকে জাপানের জনসংখ্যা প্রতিবছর কমছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে অবশ্যই সন্তান জন্ম দেওয়ার হার কমে যাওয়া, ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ফার্টিলিটি রেট’। কোনো একটি দেশের জনসংখ্যা ধরে রাখতে হলে এই হার ২ দশমিক ১ রাখা জরুরি। কিন্তু জাপানে তা ১ দশমিক ৩। ফলে জনসংখ্যায় ধস নামা ঠেকানোয় মনোযোগ দিতে হচ্ছে জাপানকে। তাই জাপান সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে দেশের তরুণ নাগরিকদের সন্তান জন্মদানে উৎসাহিত করতে। পাশাপাশি সমস্যার গভীরতা আঁচ করতে পেরে দেশের বেসরকারি খাতও বেশ কিছুদিন থেকে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হতে শুরু করেছে।