পোশাকশিল্পের প্রবেশ স্তরের শ্রমিক-কর্মচারীর মাসিক ন্যূনতম মজুরি শেষ পর্যন্ত ১২ হাজার ৫০০ টাকায়ই বহাল থাকল। এই গ্রেডের অন্যান্য সুবিধার ক্ষেত্রেও কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। তবে মজুরি বোর্ডের যে খসড়া সুপারিশ ছিল, সে তুলনায় চূড়ান্ত ঘোষণায় অন্যান্য গ্রেডে মজুরি ১২৩ থেকে ৫২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গ্রেডের সংখ্যা আরও একটি কমিয়ে চারটি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চূড়ান্ত বৈঠকে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে চূড়ান্ত মজুরি ঘোষণা করেন নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা।
তিনি জানান, খসড়া সুপারিশের গেজেট প্রকাশের পর বিভিন্ন পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণ পেয়েছেন তারা। মজুরি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে এসব পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর গেজেট প্রকাশের পর মোট ১৯৮টি পর্যবেক্ষণ এসেছে মজুরি বোর্ডে। এর মধ্যে মালিকপক্ষ থেকে ১৭৩টি এবং শ্রমিক সংগঠন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫টি পর্যবেক্ষণ এসেছে।