প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করবে

প্রথম আলো ড. হোসেন জিল্লুর রহমান প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৩

প্রথম আলো : দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?


হোসেন জিল্লুর রহমান: জ্যোতিষীরা হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর ভালো দিতে পারবেন। আমি তো জ্যোতিষী নই।

প্রথম আলো : অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে আপনার মতামত জানতে চাইছি; যেখানে এক পক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, অন্য পক্ষ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে।


হোসেন জিল্লুর রহমান: রাজনীতির কুশীলব বা অ্যাক্টররা যেভাবে বিষয়টি দেখছেন, সেভাবে বিচার না করে দায়িত্বশীল কাজ হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আলোকে দেখা। আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ। রাজনীতিকে অর্থনীতি থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। নির্বাচনকে যতই আনুষ্ঠানিক মোড়ক দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু সেটি প্রতিযোগিতাহীন। এ ধরনের নির্বাচনের প্রতি ভোটাররা আকৃষ্ট হবেন কি না, তা–ও প্রশ্নের বিষয়। প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে তাদের আস্থা পাওয়া যায়।


প্রশ্ন হলো, বর্তমানে দেশ যে আনুষ্ঠানিকতার নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে, সেখানে ভোটারদের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে কি না। দেশের ভেতরে ও বাইরে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার জন্যও প্রতিযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ সাহসের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় সামনে নিয়ে এসেছে, আমরা মধ্যম আয়ের দেশের স্বপ্ন দেখছি, উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি, অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে পৌঁছাতে চাইছি—এসব আকাঙ্ক্ষা পূরণেও একটি প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে।


প্রথম আলো : এ মুহূর্তে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন কি?


হোসেন জিল্লুর রহমান: অর্থবহ, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন চাইলে সদিচ্ছার নিদর্শন দেখাতে হবে। বিশেষ করে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সদিচ্ছা দৃশ্যমান হতে হবে। নির্বাচনের তফসিল পুনর্বিন্যস্ত করা হতে পারে। প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাইলে প্রতিযোগীদের খেলার মাঠে আসার সুযোগ দিতে হবে। বিরোধী দলের অনেক নেতা জেলে আছেন। তাঁদের যে আইনি প্রক্রিয়ায় জেলে নেওয়া হয়েছে, তার যথার্থতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। এমনকি বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ত্বরিত বিচার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।


মূল প্রতিযোগীদের কারারুদ্ধ করার কৌশল থেকে সরে এসে তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার আইনি পদক্ষেপ নিয়েও সরকার সদিচ্ছার নমুনা দেখাতে পারে। পূর্ববর্তী প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত এমন ব্যক্তিরা যদি নির্বাচন কমিশনে থাকেন, তঁাদের বাদ দিয়েও সদিচ্ছা দৃশ্যমান করা যেতে পারে।


প্রথম আলো : সে ক্ষেত্রে বিরোধী দল যে হরতাল-অবরোধ পালন করছে, তা থেকে তারা সরে আসবে কি না?


হোসেন জিল্লুর রহমান: তখন বিরোধী দলের ওপরও একটা নৈতিক চাপ তৈরি হবে। জনগণ বলবে, সরকার পক্ষ এই ছাড় দিয়েছে, তোমাদেরও ছাড় দিতে হবে। তবে তা নির্ভর করবে সরকারের পদক্ষেপগুলো কতটা আন্তরিক ও কী পরিবর্তনের বার্তা দিচ্ছে, তার ওপর। মূল কথা হলো সত্যিকার অর্থে একটি আস্থার জায়গা তৈরি করা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us