সবশেষ ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর পরপরই দেশের স্থানীয় পর্যায়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন নির্বাচনেও অংশগ্রহণ ছিল দলটির। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী ২০১০ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচারকাজ শুরু হলে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জামায়াত।
এরপর সংক্ষুব্ধদের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বেঞ্চ।
নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর জাতীয় কিংবা স্থানীয় কোনো নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিতে পারেনি জামায়াতে ইসলামী। এরই মধ্যে দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকেও দূরত্বে ছিল দলটি। তবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এখন আবারও সরকার পতনের এক দফা ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আন্দোলন করছে জামায়াত।