শীর্ষস্থানীয় নেতারা ফাঁসিতে ঝুলেছেন, বাকিরা আত্মগোপনে, দলে ভাঙন, বহু বছরের বিতর্কের পর জোট ভেঙে দিয়েছে বিএনপি; সবশেষ নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে গেছে।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষে অস্ত্র ধরে মুক্তিযুদ্ধের পর নিষিদ্ধ হওয়া জামায়াতে ইসলামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বদান্যতায় রাজনীতিতে ফেরার পর এতটা দুর্দশায় আর পড়েনি।
নিবন্ধন বাতিলের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন খারিজের পর জামায়াত এখন অপেক্ষায় আপিল বিভাগের লিখিত রায়ের। সেটি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চায় তারা।
আইনজীবীরা বলছেন, জামায়াতের পক্ষে এখনও নিবন্ধনের জন্য আইনি লড়াই চালানো সম্ভব। পাশাপাশি ‘ত্রুটিগুলো’ সারিয়ে নতুন করে আবেদনও করতে পারে তারা।
জামায়াত কোন পথে যাবে, সেই প্রশ্নে প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপিল বিভাগের লিখিত রায়টা দেখে ফুল বডি (কেন্দ্রীয় কমিটি) সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে। এখন কিছু বলা সম্ভব নয়।”
জিয়ার পর এইচ এম এরশাদের সামরিক সরকারের আমলেও জামায়াত রাজনীতি করেছে নির্বিঘ্নে। দেশ গণতান্ত্রিক ধারায় ফেরার পর খালেদা জিয়ার শাসনেও জামায়াতের সমস্যা হয়নি, বরং তাদের দুই নেতার গাড়িতে জাতীয় পতাকাও উঠেছে।