পারিবারিক, অর্থনৈতিক, কর্মক্ষেত্র, সম্পর্কের টানাপোড়নসহ নানা কারণে মানসিক চাপ হতে পারে। এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ এবং স্ট্রোকসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপের ফলে মানসিক অস্থিরতা, অবসাদ মতো উপসর্গ দেখা যায়। এ ছাড়াও পেশির দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা যন্ত্রণা কিংবা অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে শরীরে। মানসিক চাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষ করে হৃৎপিণ্ডের উপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। হৃদ্রোগের ঝুঁকি এড়াতে এ কারণে বার বার মানসিক চাপ কমানোর কথা বলেন চিকিৎসকেরা।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে যা করবেন-
১.নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরে এন্ডরফিন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। এর ফলে মন ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হালকা শরীরচর্চা করুন। জিমে না গিয়ে জগিং, সাঁতার কাটা, সাইক্লিং করলেও উপকার পাবেন।
২. প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। সারা দিনের কাজের পর শরীর এবং মনকে নতুন করে কর্মোপযোগী করে তুলতে ঘুমের প্রয়োজন আছে। এ কারণে হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে ঘুমের বিকল্প নেই।