দেশের মোট জিডিপিতে রাজধানী ঢাকার অবদান ৩৬ শতাংশ। ১৯ শতাংশ অবদান রাখছে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, ফেনীর মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক করিডোরের মধ্যবর্তী এলাকাগুলোর অবদান আরো প্রায় ১০ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এ হিসাব অনুযায়ী, দেশের জিডিপির প্রায় ৬৫ শতাংশই আবর্তিত হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক করিডোরকে ঘিরে।
অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখলেও গত এক যুগে এ অর্থনৈতিক করিডোরের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে সামান্যই। ২০০৯ সালের পর গত দেড় দশকে দেশের সড়ক ও রেলপথের উন্নয়নে (বাস্তবায়িত ও চলমান) বিনিয়োগ হয়েছে পৌনে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এ সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক করিডোরের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বিনিয়োগের মাত্র ৬ শতাংশ।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। সংস্থাটি ঢাকা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক করিডোরের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করেছে ১২ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত ১৯০ কিলোমিটার সড়ক দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করায়। ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছে দ্বিতীয় কাঞ্চন, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতু। এর বাইরে প্রায় ১৮২ কোটি টাকায় ফেনীর মহিপালে একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ এবং সড়ক সংস্কারকাজ চলমান আছে।