সামনে তাকাতে পারতে হবে

সমকাল হাসান মামুন প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৩০

রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা-যাওয়া করা কোন দলের অতীত ভালো? মন্দের ভাগ বেশি হলেই আমরা বলি, ওটা মন্দ। প্রবণতা দেখেও বলা হয়ে থাকে– ভালো না মন্দ। ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করা দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি জাতীয় পার্টিও আছে। তারাও শাসক দল ছিল। পরে আরেকটি শাসক দলের সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। টকশোয় তাদেরও ডাকা হয়ে থাকে। তাদের কেউ কেউ অবশ্য বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সেনাশাসক এরশাদও ‘বোকা বনে গেছেন’ তাঁর পরবর্তীকালটা দেখে। ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করা অপর দুই দল গণতন্ত্র ও সুশাসনে এমনই ভূমিকা রেখেছে!


সেনাশাসকদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিতদের তুলনা করে বক্তব্য দেওয়া অবশ্য ঠিক নয়। দ্বিতীয় ধরনের শাসকদের কাছে মানুষ গণতান্ত্রিক আচরণ ও সুশাসন প্রত্যাশা করে। এটা বলা তাই ঠিক নয়, জেনারেল জিয়া ‘হ্যাঁ-না ভোট’ করেছিলেন বলে আমরাও ২০১৮ ধরনের নির্বাচন করেছি। কিংবা এরশাদ সাহেব বিরোধী দল-বিবর্জিত নির্বাচন করেছিলেন বলে আমরাও ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটা করেছিলাম! তুলনা হতে পারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দুই শাসনামলের মধ্যে। তুলনা হতে পারে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন প্রথম শাসনামলের সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলের। এমনকি তুলনা হতে পারে একই গণতান্ত্রিক শাসকের প্রথম শাসনামলের সঙ্গে তার দ্বিতীয়টির। এতেও কিন্তু স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে অবনতির ধারা।


তা সত্ত্বেও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার একটা ধারাবাহিক উন্নতি আমরা লক্ষ্য করব। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে; জীবনযাত্রার মান হয়েছে উন্নত। আবার বৈষম্য বেড়েছে। এক ধরনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তো রয়েছে, যাতে বৈষম্য বেড়ে যায়। একে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ বলা যায় না। অথচ এ ধরনের প্রবৃদ্ধিই প্রয়োজন। এমন প্রবৃদ্ধি আশা করেই এ দেশের মানুষ একাত্তরে লড়েছিল, শহীদ হয়েছিল। যারা অষ্টপ্রহর ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’র কথা বলতে অভ্যস্ত, তারাও বৈষম্যমূলক প্রবৃদ্ধির পথে হাঁটছেন। তাদের আমলে একটা নজিরবিহীন গোষ্ঠীতান্ত্রিক পুঁজিবাদ কায়েম হয়েছে বরং। দুর্নীতির বিস্তার, লুট ও অর্থ পাচার মানুষকে করে দিয়েছে হতবাক। এর মধ্য দিয়ে যেটুকু উন্নয়ন ঘটেছে, সেটা অবশ্য তার প্রাপ্তি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us