বিবর্ণ একটি এশিয়ান গেমস শেষ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সার্বিক অবস্থা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনের পরিপ্রেক্ষিতে সবার জন্য উদ্বেগের বিষয়। ক্রীড়া ব্যবস্থাপনায় আমরা ভুল করছি। ক্রীড়াচর্চার ক্ষেত্রেও প্রচুর ভুল আছে। হাংজু এশিয়াড থেকে আবার সেটা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া গেছে। কোনো কিছুর গভীরে না গিয়ে ওপরে ওপরে থেকে আমাদের মন্তব্য প্রবণতা ক্রীড়াঙ্গনকে শুধু বিতর্কিত নয়Ñ ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল। সত্যিকার অর্থে গত ৫২ বছরে এ ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি হয়নি। স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা এবং সুশাসনের অভাব ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম বড় সমস্যা। ক্রীড়াঙ্গন পরিচালিত হচ্ছে ব্যক্তি ও সমষ্টির স্বার্থে।
ক্রীড়াঙ্গন পরিচালিত হচ্ছে না মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমষ্টিগতকে সম্পৃক্ত করেÑ এটি অপ্রিয় শোনালেও সত্যি। ক্রীড়াঙ্গনে পেশাদারি তৈরি হয়নি। নৈতিকতা এবং মূল্যবোধের গুরুত্ব নেই। ‘ইরেলিভ্যান্ট’ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আসল কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে ন্যায়-অন্যায়ের যুদ্ধ প্রতিনিয়ত চলছে। ব্যক্তিগত ও সংগঠনগত নৈতিক উৎকর্ষ অর্জনের অনুশীলন নেই ক্রীড়াঙ্গনে। সময়ের সঙ্গে ক্রীড়াঙ্গন গড়াচ্ছে দিকভ্রান্তভাবে। ৫২ বছরেও ক্রীড়াঙ্গনের জন্য একটি সুষ্ঠু ক্রীড়ানীতি প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নিÑ যা ক্রীড়াঙ্গনে পথরেখা হিসেবে কাজ করবে।