নির্বাচন কমিশন এখন কী করবে?

যুগান্তর প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৫৬

গত ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচনে যদি ১ শতাংশ ভোট পড়ে এবং ৯৯ শতাংশ ভোট না পড়লেও তা আইনগতভাবে সঠিক হবে। সেক্ষেত্রে লেজিটিমেসির (বৈধতা) ব্যাপারটি ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু আইনত নির্বাচন সঠিক হবে। আমরা লেজিটিমেসি নিয়ে মাথা ঘামাব না। আমরা দেখব ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচন লেজিটিমেসির বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন ফাইট করবে না। নির্বাচনে লেজিটিমেসির বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সমাজ ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ফাইট করবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে কে এলো না এলো, সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব না। ব্যাপকসংখ্যক ভোটার এসে যদি ভোটদান করে, তাহলে আমরা সেটাকে অংশগ্রহণমূলক বলতে পারি। কাউকে নির্বাচনে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্ব নয়’ (যুগান্তর, ৫ অক্টোবর)। সিইসির এ বক্তব্য শুধু নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ নয়, বরং তার নিজের বক্তব্যের সঙ্গেও কিছুটা সাংঘর্ষিক। প্রায় অংশগ্রহণহীন দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসি এগিয়ে গেলে চলমান রাজনৈতিক সংঘাত কী ভয়ংকর রূপ নিতে পারে এবং দেশ কী ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে, তা আলোচনা করাই এ নিবন্ধের উদ্দেশ্য।


সিইসির বক্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সিইসি ক্ষমতাসীন সরকারের ‘টুলস’ বা হাতিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। তার কাছ থেকে তাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। সিইসির বক্তব্য বিশিষ্টজন এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনরা বলেছেন, একটা বড় দল যদি নির্বাচনে না আসে, অন্য ৩০০ দলও যদি আসে, তবু নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করা যাবে না। অব্যবহিত আগের কমিশনের নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম ৪ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন আয়োজিত কর্মশালায় যোগদান করে বলেন, ভোটের পরিবেশ ঠিক করতে হবে। ভোট অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। তবে প্রধান বিরোধী দল না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেছেন, বড় দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে নির্বাচনের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে।


এখন অনেকটা অংশগ্রহণহীন দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে আলোচনা করা যাক। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ভীষণভাবে পরাজিত হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন। এ সরকার ২০১১ সালের জুনে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের মার্চে বিএনপি প্রবর্তিত জাতীয় নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে। জনগণ আওয়ামী লীগের এ পদক্ষেপকে ভালোভাবে নেয়নি। সাধারণ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের প্রতি জনগণের সমর্থন বাড়তে থাকে। এ দাবিতে আন্দোলন বেগবান হতে থাকলে সরকারের অস্বস্তি বেড়ে যায়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে কাল

প্রথম আলো | নির্বাচন কমিশন কার্যালয়
৮ মাস, ১ সপ্তাহ আগে

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us