রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার নামিয়ে আনতে একটি ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সংস্থাটি। তবে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ‘সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন’ পাশ হওয়ায়। রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে এসব জানতে চাওয়া হয়। একই দিন মিশনের প্রতিনিধিদল পৃথকভাবে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও বৈঠক করে। সেখানে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় নতুন ফর্মুলা কবে নাগাদ কার্যকর করা হবে, তা জানতে চায়। বিপরীতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয় এ ফর্মুলা আগামী বছরের প্রথমদিকে বাস্তবায়নের চিন্তা করছে সরকার।
এছাড়া আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে ডলারের বিনিময় মূল্য ‘এক রেট’ এবং বৈশ্বিক সংকটের মুখে রপ্তানি আয় বাড়াতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সে ব্যাপারে জানতে চেয়েছে সংস্থাটি। সচিবালয়ে আইএমএফ প্রথম বৈঠক করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে। আর্থিক বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলিম উল্লাহর নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন বৈঠকে। সেখানে ব্যাংকিং খাতের সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরা হয়। এ বিষয় জানতে চাইলে কোনো মতামত দিতে রাজি হননি আর্থিক বিভাগের সচিব।
তবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানান, আইএমএফ প্রতিনিধিদল মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছে। এজন্য একটি পরিকল্পনাও আমাদের কাছে চেয়েছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমওইউ করা আছে। সেখানে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।