অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের উদ্যোগ নিলেও ভোটকে সংঘাতমুক্ত করার কাজটি এককভাবে ‘সরকারের হাতে নেই’ বলে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের কাছে তুলে ধরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব দলের ও মতের আন্তরিকতা ও ইচ্ছা থাকার বিষয়ে গুরুত্ব দেন তিনি।
রোববার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মিশনের প্রতিনিধিরা।
নির্বাচনের বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের বিষয় তাদের কাছে তুলে ধরার পর ব্রিফিংয়ে আসেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বলেছি, তোমাদেরও আমরা সাহায্য চাইব যে, আমাদের দেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার জন্য। তবে, নন-ভায়োলেন্ট আমরা বলতে পারলাম না, কারণ নন-ভায়োলেন্ট হবে সর্বদলের ঐক্যমতে। একান্ত আন্তরিকতা, ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।”
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি দেখতে এবং ভোটের বিষয়ে ‘স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পর্যালোচনা’ চালানোর জন্য শনিবার ঢাকায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনি পর্যালোচনা মিশন (পিইএম)।
ছয় সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) যৌথ এই মিশন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে থাকবে।