যার মুখে যা আসে বলে দেয়। চিন্তা করে না কথাটা আমাদের কতটা উপকারে আসছে আর কতটা ক্ষতি করছে। সুতরাং বক্তব্য-বিবৃতিতে সতর্ক থাকা উচিত। সময়টা খারাপ। একজন নেতার একটা কথা, একটা উচ্চারণ অনেক ক্ষতি করতে পারে।
তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার দিল্লি আছে, আমরাও আছি। শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে ভারসাম্য করে ফেলেছেন। আর কোনো চিন্তা নেই। যথাসময়ে নির্বাচন হবে।
উপরের দুটি বক্তব্যই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদরের। প্রথমটি সংবাদমাধ্যমে আসে ১ অক্টোবর। তিনি সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছেন, যেমন করে এর আগে ৬ সেপ্টেম্বরও করেছিলেন। বলেছিলেন, সময়টা খারাপ। কাজেই এবার বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে কথা ও বাক্য ব্যবহারে।
যিনি সবাইকে অতি কথন থেকে দূরে থাকতে বললেন, সাবধান হতে বললেন, সেই তিনি কেন ‘তলে তলে, আপস হয়ে যাওয়া, দিল্লি আছে, আমরাও আছির’ মতো কথা বললেন? এখন এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে ট্রল হচ্ছে।
আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম বেড়ে উঠছে রাজনৈতিক নেতাদের আক্রমণাত্মক, ব্যাঙ্গাত্মক শব্দে প্রতিপক্ষকে অশ্রদ্ধা করে উচ্চারিত কথার যুদ্ধ দেখে দেখে। ভাষার কদর্যতায় এগিয়ে যাচ্ছি আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অজান্তেই শেখাচ্ছি সে সব। যখন টিভিতে বাচ্চাদের সামনে এই ভাষা ভেসে ওঠে তখন কী বাবা মা ছাড়া আর কারও খারাপ লাগে? ভাষা ব্যবহারের ক্রমাগত এই অবনয়ন দেখে ভাষাবিদেরা শঙ্কিত হন কিনা জানা নেই।