অতীতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশিদের তৎপরতায় সবচেয়ে লাভবান হয়েছে আওয়ামী লীগ। অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিদেশিরা বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চাপ দেয়। তবে বন্ধু দেশ হলেও এই বার্তা অগ্রাহ্য করে তাদের শত্রু বানানো হয়। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ভারতের নীরবতাও একটি বার্তা।
গতকাল রোববার ‘বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি শক্তির প্রভাব’ শীর্ষক ওয়েবিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন। ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সাংবাদিক মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির ও ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের সিনিয়র ফেলো ড. শ্রীরাধা দত্ত। সমাপনী বক্তৃতা করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো তখনই হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলে, যখন বিদেশিদের বার্তা নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়। জাতীয় স্বার্থ ও উন্নতির জন্য বৈদেশিক সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি হয় মূল্যবোধে। বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা এবং এক ব্যক্তিকে শক্তিশালী করায় প্রতিষ্ঠান ভেঙে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে মূল্যবোধ থাকে না। ভেতর থেকে সুযোগ তৈরি করে না দিলে বিদেশিরা কথা বলে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বাইরের প্রভাবের সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভারত। এবার নির্বাচন নিয়ে দেশটির নীরবতাও একটি বার্তা।