ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন ও আর্থিক অর্থনীতিতে এমএসসি এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বাণিজ্যনীতি ও ব্যবসায়িক কূটনীতিতে কার্লটন ও অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত। শিক্ষকতা করেছেন রয়্যাল হলওয়ে, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজ করেছেন জাতিসংঘ, আইইউসিএনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায়। তাঁর উল্লেখযোগ্য বই– যুদ্ধোত্তর থেকে করোনাকাল (২০২২), ফিসকাল অ্যান্ড মানিটারি পলিসি’জ ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (২০২১), নাম্বারস অ্যান্ড ন্যারেটিভস ইন বাংলাদেশ’স ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (২০২২), স্টেইট বিল্ডিং অ্যান্ড সোশ্যাল পলিসি’জ ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিজ (২০২২), হোয়াই ইকোনমিক প্রডাক্টিভিটি ফেইলস (২০২৩) ইত্যাদি।
ফারুক ওয়াসিফ: বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় সব সূচক নিম্নমুখী। রিজার্ভের মজুত, জ্বালানি নিরাপত্তা, ঋণমান, টাকার মান সব পড়তির দিকে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র্যাঙ্কিংয়ে ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। আমাদের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা আসলে কোন গ্রেডে যাচ্ছে?
রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর: বাংলাদেশের অর্থনীতি নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সংকটের ফল সবার ওপরে পড়ছে। মূল্যস্ফীতি জীবনযাপনকে কঠিন করে তুলেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেখানোর জন্য ব্যবসায়ীদের জোর করে আমদানি কমাতে বলা হচ্ছে। এতে করে তো উৎপাদন ও কর্মসংস্থান কমে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ম্যান্ডেট ছিল মূল্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার। সে ব্যাপারে তাদের কোনো কার্যকারিতাই দেখা যায়নি। সমস্যা সমাধানে তো অনেকদিন সময় পাওয়া গেছে। তারপরও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, সংকটগুলো অভ্যন্তরীণভাবে সৃষ্টি হয়েছে। সংকটের গোড়ায় রয়েছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা।