সৌদি আরব, রাশিয়া ও তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক ও ওপেক প্লাস চলতি বছরের বিভিন্ন সময়ে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় এরই মধ্যে চলতি বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে জ্বালানি তেলের দাম। এরই মধ্যে আবার তেল রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এই অবস্থায় বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, জ্বালানি তেলের দাম লাগামছাড়া হতে পারে। আর তাই তেলের দামের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাস গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল করতে রাশিয়া সব ধরনের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে। তবে জ্বালানি তেলের রপ্তানির ওপর শুল্ক প্রতি টনে ২৫০ ডলার পর্যন্ত বাড়াতে পারে।
রাশিয়ার এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপের দেশগুলোতে ডিজেলের জোগান কমে যেতে পারে কিছুটা হলেও। অবশ্য এর আগে ইউরোপ রাশিয়া থেকে পরিশোধিত তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞার ধকল কাটাতে রাশিয়া আফ্রিকাকে বেছে নেয়। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত আফ্রিকায় আগের বছরের চেয়ে ৫০ শতাংশ তেল বেশি রপ্তানি করেছে রাশিয়া।