খাদিজা তার সদ্যভূমিষ্ঠ কন্যা সন্তানের নাম এখনও ঠিক করতে পারেননি। ভূমিকম্পের ঠিক কয়েক মিনিট আগেই পৃথিবীর আলোর মুখে দেখে শিশুটি। এমন সময় পৃথিবীতে এলো যখন তার চারপাশে সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার ইশারায় অলৌকিকভাবে হয়তো এ যাত্রায় বেঁচে গেছে।
মরক্কোয় শুক্রবার রাতের ভূমিকম্পের পর নবজাতকের প্রথম ঘরটি হলো খোলা আকাশের নিচে একটি ছোট তাবু। মা ও মেয়ে অক্ষত থাকলেও মারাকেশের যে হাসপাতালটিতে তারা ছিলেন তা দ্রুত খালি করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জন্মের মাত্র তিন ঘণ্টা পর হাসপাতাল ছাড়তে বলা হয়। খাদিজা বলেন, হাসপাতাল থেকে আমাদের বলা হয় আবারও কম্পন হতে পারে।
এরপর নবজাতককে সঙ্গে নিয়ে খাদিজা ও তার স্বামী শনিবার ভোরে একটি ট্যাক্সি নিয়ে মারাকেশ থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরের আটলাস পর্বতমালায় বাড়ির পথে রওনা দেন। যাওয়ার পথে ভূমিধসের কারণে রাস্তা বন্ধ দেখতে পান। এরপর মূল সড়কের পাশে একটি তাঁবুতে অবস্থান করছে পরিবারটি।