ঢাকা থেকে একটু দূরে অনেকেই গড়ে তুলছেন চোখ জুড়ানো বাড়ি, কেন

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:৩৩

শহরে ফ্ল্যাট বা বাড়ি থাকার পরও কেন মানুষ গ্রামে বা সবুজ প্রকৃতির মাঝে আলাদা করে বাড়ি বানান, নাগরিক আরাম–আয়েশ ফেলে সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনগুলোতে সেখানে ছুটে যান


এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পশ্চিমের বা অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলো অনেক আগেই গেছে। শহরের জমির দাম সবখানেই আকাশছোঁয়া। উঁচু উঁচু দালানের ভিড়ে সেখানে বাড়ি রাখার সুযোগ অনেক আগেই নষ্ট হয়েছে। সেখানকার শহুরে মানুষের কাছে ফার্ম হাউস, হলিডে হোম বা কটেজ, পুরো কাঠ দিয়ে তৈরি লগ হাউস—এসবের ধারণা বেশ পুরোনো। সপ্তাহের কাজের দিনগুলোতে তাঁরা শহরে থাকেন আর উইকেন্ড বা যেকোনো ছুটি কাটাতে অনেকেই ছোটেন ফার্ম হাউস বা হলিডে হোমে। এর সঙ্গে অবশ্যই সামর্থ্যের বিষয়টি জড়িত রয়েছে। আমাদের দেশের সামর্থ্যবানেরাও এখন সেই পথে হাঁটতে শুরু করেছেন।


তবে এই ধারণা যে পশ্চিম বা উন্নত বিশ্ব থেকে ধার করা, এমন ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আমাদের দেশের রাজা-বাদশাহ, জমিদার বা বিত্তবানদের মধ্যে ‘বাগানবাড়ি’র সংস্কৃতি বেশ পুরোনো। চিত্রকর, নন্দনতাত্ত্বিক ও শিশুসাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জোড়াসাঁকোর ধারে বইয়ে কলকাতার কাছেই হুগলি জেলার কোন্নগরে ঠাকুরদের বাগানবাড়ির বর্ণনা পাই। লিখেছেন, ‘কোন্নগরে কী আনন্দেই না কাটাতুম!’ এই বাগানবাড়িতে বসেই কুঁড়েঘর আঁকতে শিখেছিলেন এই চিত্রশিল্পী। গঙ্গার তীরে প্রায় ১৩ বিঘা জমির ওপর ১৮৭০ সালে এই বাগানবাড়ি তৈরি করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাই গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর।


মালিবাগে আমাদের একটি বাড়ি ছিল, দোতলা। এটা ছিল আমার কাছে ‘বাড়ি’। সেটি আর নেই। ভেঙে ফ্ল্যাটবাড়ি বানানো হয়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে ফেসবুকে পুরোনো সেই বাড়ির ছবি দিয়ে ছোট্ট একটি নোট শেয়ার করেছিলাম। শিরোনাম ছিল, ‘মালিবাগে এখন আর কোনো বাড়ি নেই।’ শুধু আমাদের বাড়িই নয়, সেই এলাকায় এমন আরও অনেক বাড়ি ছিল, যার একটিও এখন আর নেই। ফেসবুকে লিখেছিলাম, ‘মালিবাগের বাড়িতেই আমার বেড়ে ওঠা। এখন মালিবাগে থাকি না। তবে নিয়মিত সেখানে যাই, যাওয়ার চেষ্টা করি। কখনো আশপাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করি। কেন যাই? আমি আসলে এই বাড়ির টানেই মালিবাগ যাই। কিন্তু বাড়িটা খুঁজে না পেয়ে আবারও যাই। বারবার যাই।’


এখন ‘বাড়ি’তে থাকি না, ফ্ল্যাটে থাকি। এটা ফ্ল্যাট, কনডোমিনিয়ামের যুগ। এগুলোর চরিত্রও দিন দিন বদলে যাচ্ছে। সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে। বিলাসিতারও যেন শেষ নেই। সুইমিংপুল, জিম, গাছপালাসহ ট্যারেস—কত কী! কিন্তু শহরে বা গ্রামে যাঁরা বাড়িতে বড় হয়েছেন, এমন অনেককে এসব সুযোগ-সুবিধাও মন ভরাতে পারে না। কোথায় যেন একটা নেই নেই হাহাকার থেকে যায়। এমন অনেকেই বাড়ির খোঁজে থাকেন, বাড়ির স্বপ্নকে ধরে রাখেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us